
Subaru আবার ফিরেছে নতুন একটি ইলেকট্রিক গাড়ি নিয়ে। আগের মডেল Solterra-র মতো এই নতুন গাড়ি ‘ট্রেইলসিকার’-এও টয়োটার কিছু প্রযুক্তির ব্যবহার রয়েছে। সম্প্রতি নিউ ইয়র্ক ইন্টারন্যাশনাল অটো শো-তে ২০২৬ সালের এই নতুন SUV উন্মোচন করা হয়েছে। এটি সুবারুর দ্বিতীয় ইভি এবং দেখতে অনেকটা সুবারুর অন্যান্য গাড়ির মতোই। এটি Subaru Ascent-এর মতো দেখতে হলেও কিছুটা ছোট, আবার কেউ কেউ বলছেন এর মধ্যে Subaru Outback-এর ছাপও রয়েছে। তবে এটি Solterra থেকে বড় আকারের।ট্রেইলসিকার তৈরি করা হয়েছে মূলত অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় ও ঘুরতে ভালোবাসা গ্রাহকদের জন্য। যাঁরা রিভিয়ানের নতুন R2 মডেলের দিকে নজর দিচ্ছেন, তাঁদেরকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতেই সুবারুর এই পদক্ষেপ। যদিও Rivian যুক্তরাষ্ট্রে তাদের R2 তৈরি করবে, আর সুবারুর এই গাড়ি জাপানে তৈরি হবে, তাই আমদানি শুল্কের কারণে কিছু সুবিধা Rivian পেতে পারে।

এই নতুন ইভিতে থাকবে সুবারুর নিজস্ব অল-হুইল ড্রাইভ প্রযুক্তি, যাতে দুটি ইলেকট্রিক মোটর থাকবে সামনের ও পেছনের চাকায়। এতে ৩৭৫ হর্সপাওয়ার শক্তি পাওয়া যাবে এবং এটি প্রায় ৩,৫০০ পাউন্ড পর্যন্ত ওজন টানতে সক্ষম। সুবারুর ইঞ্জিনিয়াররা এই গাড়ির সাসপেনশন ও ড্রাইভ সিস্টেম টিউন করেছেন যেন এটি সব ধরনের পথে চালানো যায়। গাড়িটির ছাদ কিছুটা উঁচু এবং ভিতরের জায়গাও বেশি, যাতে ক্যাম্পিং বা অ্যাডভেঞ্চার সরঞ্জাম সহজে বহন করা যায়। এটি Solterra থেকে প্রায় ছয় ইঞ্চি বড় এবং এক ইঞ্চির মতো উঁচু। তবে এর মাটি থেকে উচ্চতা ৮.৩ ইঞ্চি, যা গ্যাসচালিত Subaru Forester বা Outback থেকে কিছুটা কম।

গাড়িটিতে আছে ৭৪.৭ কিলোওয়াট আওয়ার লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি, যা একবার চার্জে ২৬০ মাইলের বেশি দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে। এতে রয়েছে নর্থ আমেরিকান চার্জিং স্ট্যান্ডার্ড (NACS) পোর্ট, যার মাধ্যমে এটি টেসলার সুপারচার্জিং নেটওয়ার্কের সাথে কম্প্যাটিবল।গাড়ির ডিজাইনেও কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। যেমন, নতুন হেডলাইট, সামনের বাম্পার এবং ১৮ ও ২০ ইঞ্চির হুইল ডিজাইন। ইন্টেরিয়রে রয়েছে মেটালিক ফিনিশ, বড় সেন্টার কনসোল, এবং সুবারুর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ১৪ ইঞ্চির টাচস্ক্রিন ডিসপ্লে। এই টাচস্ক্রিনের সাথে আছে ওয়্যারলেস অ্যাপল কারপ্লে ও অ্যান্ড্রয়েড অটো। যাত্রীদের জন্য রয়েছে দুটি ওয়্যারলেস স্মার্টফোন চার্জার এবং পেছনের সিটে দ্রুতগতির USB-C চার্জারও।

নিরাপত্তার দিক থেকেও ট্রেইলসিকার অত্যন্ত উন্নত। এতে রয়েছে ব্লাইন্ড স্পট মনিটর, লেন ডিপার্চার এলার্ট এবং এমন ব্রেকিং সিস্টেম, যা সম্ভাব্য দুর্ঘটনার আগেই সক্রিয় হয়ে যায়। অ্যাডাপটিভ ক্রুজ কন্ট্রোলের মাধ্যমে গাড়িটি নির্ধারিত গতিতে চলতে পারে এবং সামনে থাকা গাড়ির সঙ্গে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখে।সব মিলিয়ে, ট্রেইলসিকার সুবারুর ইলেকট্রিক গাড়ির দুনিয়ায় একটি বড় পদক্ষেপ এবং এটি রিভিয়ানের মতো ব্র্যান্ডের সঙ্গে সরাসরি প্রতিযোগিতায় নামতে প্রস্তুত। ২০২৬ সাল নাগাদ এটি বাজারে আসবে বলে জানিয়েছে সুবারু।