নারী বলতে সাধারণ আমরা কি বুঝি? নারী মানে একজন কন্যা সন্তান, কখনো কারো সহধর্মীনী, কখনো কারো বোন বা কখনো কারো মা। কিন্তু এতেই কি একজন নারীর আসল পরিচয়? এ সম্পর্কগুলো ছাড়াও নারীর আরও অনেক পরিচয় আছে। একজন নারী কখনো কঠোর পরিশ্রমী ব্যক্তি, কখনো সবার সাথে তাল মিলিয়ে নিজেকে প্রমাণ করে সফল হিসেবে, একজন নারী চেষ্টা করলে সব অর্জন করতে পারে, আবার কখনো নিজের পুরো জীবনটাই বিসর্জন দেয় আপনজনদের ভালো রাখার জন্য। নারী তার জীবনে বিভিন্ন রুপে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন।
তাই ৮ই মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে, গত ৯ই মার্চ ২০২৪- এ বিকেল ৪ টায় বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ, তোপখানা রোড, ঢাকায় – এশিয়ান নারী ও শিশু অধিকার ফাউন্ডেশন আয়োজিত “এশিয়ান উইমেন্স আইকন এ্যাওয়ার্ড ২০২৪” – এ মাইন্ডশেপার অংশগ্রহন করে। মাইন্ডশেপার থেকে উপস্থিত ছিলেন “সাইকোলজিস্ট ফারজানা খানম”। মাইন্ডশেপারের পক্ষ থেকে প্রোগ্রামটির আলোচ্য বিষয় ছিল – নারীর মানসিক স্বাস্থ্য। প্রোগ্রামটির হাইলাইটস গুলো তুলে ধরা হল-
নারীরা ঘরে এবং বাইরে সমান তালে কাজ করতে গিয়ে সমাজ, সংসার থেকে সবসময় একটা পারফেক্ট রোল প্লে করার তাগিদ অনুভব করেন। সব দায়িত্ব সামলাতে সামলাতে কখনো কখনো নারীরা তাদের আপন ব্যাক্তিসত্তা, তার নিজের ভালো থাকা, পছন্দ অপছন্দকে গুরুত্ব দিতে ভুলে যায়। যার প্রভাব পরে তার মানসিক স্বাস্থ্যের উপর। নারী যদি নিজে ভালো না থাকেন তখন এর প্রভাব তার সংসার, করমক্ষেত্র এমনকি তার ভবিষ্যত প্রজন্মের উপরও পরে। তাই নারীর মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
একজন নারী হিসেবে ৩টি বিষয়ের প্রতি খেয়াল রেখে আমরা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে পারি। প্রথমত, “সেলফ অ্যাওয়ারনেস”। আপনার পজিটিভ এবং নেগেটিভ বিষয়গুলো মাথায় রেখে একটি হেলদি বাউন্ডারি তৈরি করতে হবে যেখানে আপনি আপনার দক্ষতা অনুযায়ী নিজের লাইফের গোল সেট করতে এবং সাকসেস হতে পারেন। দ্বিতীয়ত, সেলফ লাভ এবং সোশ্যাল রেস্পন্সিবিলিটি এঁর মধ্যে ব্যালেন্সে করে চলা। আপনার পারিবারিক, সামাজিক কিছু দায়িত্ব থাকবেই। তাই বলে নিজের ভালো লাগা, পছন্দ-অপছন্দ গুলোকে ইগনোর করলে চলবে না। এতে আপনার মানসিক সস্তি নষ্ট হবে। তৃতীয়ত, নারীর স্বাধীনতা। যেকোন পরিস্থিতি বা যে কারো সাথে নিজে বাক-স্বাধীনতা বা ইচ্ছা চাপিয়ে রাখবেন না। নিজেকে গুরুত্ব দিতে এবং ভালবাসতে শিখুন। তাহলেই নিশ্চিত হবে নারীর মানসিক শান্তি।