
নভেম্বর মাসে, আমরা খবর প্রকাশ করেছিলাম যে মেটা যা ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, এবং হোয়াটসঅ্যাপের মালিক, এবং যাদের বিশ্বজুড়ে বিলিয়ন বিলিয়ন ব্যবহারকারী রয়েছে, যারা মোট স্থির ইন্টারনেট ট্রাফিকের ১০% এবং মোবাইল ট্রাফিকের ২২% নিয়ে থাকে একটি নতুন এবং বড় সাবসি কেবল প্রকল্পে কাজ শুরু করতে যাচ্ছে, যা পৃথিবীজুড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করবে। মেটার লক্ষ্য ছিল নিজেদের সেবাগুলোর ওপর আরও নিয়ন্ত্রণ অর্জন করা। আজ, মেটা আমাদের প্রতিবেদনের বিস্তারিত নিশ্চিত করেছে: ‘প্রকল্প ওয়াটারওর্থ’ এর আনুষ্ঠানিক নাম, এবং এটি ৫০,০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ হবে, যা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সাবসি কেবল প্রকল্প হবে।যেমনটি আমরা আগেই জানিয়েছিলাম, এই প্রকল্পটি পাঁচটি মহাদেশকে সংযুক্ত করবে এবং এর সংযোগস্থল থাকবে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে। ফেসবুক বিশেষভাবে ভারতের সুযোগের কথা উল্লেখ করেছে, এবং এই নেটওয়ার্কটির ভূমিকা যে এআই সেবা বিস্তারে সহায়ক হবে, সেই কারণেই এটি তৈরি করা হচ্ছে।নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রেও মেটা নতুন একটি পথ অনুসরণ করতে যাচ্ছে, যেখানে ২৪টি ফাইবার পেয়ার কেবল ব্যবহার করা হবে এবং প্রথমবারের মতো বিশেষ রাউটিং প্রযুক্তি প্রয়োগ করা হবে। এটি ৭,০০০ মিটার গভীর পানিতে কেবল স্থাপনের জন্য নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করবে এবং এমন সব অঞ্চলে কেবল পুঁতে রাখবে, যেগুলি ভূগোলিক বা রাজনৈতিক কারণে ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।এটি অবশ্য মেটার প্রথম সাবসি কেবল প্রকল্প নয়। মেটা এর আগে ১৬টি বিদ্যমান নেটওয়ার্কের অংশীদার ছিল, যার মধ্যে ২আফ্রিকা কেবলও রয়েছে, যা আফ্রিকা মহাদেশের চারপাশে ঘুরে। কিন্তু এই নতুন কেবল প্রকল্পটি মেটার প্রথম সম্পূর্ণ মালিকানাধীন সাবসি কেবল প্রকল্প হবে।

এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো বিশ্বব্যাপী ডিজিটাল যোগাযোগ, ভিডিও অভিজ্ঞতা এবং অনলাইন লেনদেনের মতো বিষয়গুলিকে আরও উন্নত করা। মেটার প্রকল্পের লক্ষ্য হলো পৃথিবীর ডিজিটাল হাইওয়ে আরও শক্তিশালী করা এবং উচ্চ গতির কেবল সংযোগের মাধ্যমে এআই উদ্ভাবনকে সহায়তা করা।এছাড়াও, এই প্রকল্পে ভারতকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার জন্য উল্লেখ করা হয়েছে। ভারতের সরকার মেটার ৫০,০০০ কিলোমিটার কেবল প্রকল্পে অর্থায়ন এবং রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নেবে এবং ভারত মহাসাগরের গভীরতার মধ্যে কেবল স্থাপনের কাজ করবে।এই প্রকল্পটি মেটার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা শুধুমাত্র যোগাযোগের ক্ষেত্রে নয়, বরং বিশ্বব্যাপী এআই এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির বিস্তারেও বড় ভূমিকা পালন করবে।এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এই প্রকল্পের সাহায্যে মেটা তাদের নিজস্ব পরিষেবাগুলির উপরে আরও নিয়ন্ত্রণ পেতে পারবে, যা ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপসহ অন্যান্য অ্যাপ্লিকেশনগুলির কার্যকারিতা বৃদ্ধি করবে। এটি মেটার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ, যা বিশ্বব্যাপী ডিজিটাল সেবা আরও উন্নত করবে এবং সব অঞ্চলে সমান সুযোগ প্রদান করবে।প্রকল্পটির জন্য মেটা একটি নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের পরিকল্পনা করেছে, যা গভীর সমুদ্রে কেবল স্থাপন এবং বুরুজে প্রোটোকল উন্নয়নের জন্য সাহায্য করবে। এতে তারা মূলত লক্ষ্য রাখবে যে, কেবল সঠিকভাবে এবং দ্রুত স্থাপন করা হয় যাতে কোনো ধরনের ক্ষতি বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না হয়।এছাড়াও, মেটা এই প্রকল্পটির মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রবৃদ্ধি আরও ত্বরান্বিত করার জন্য এআই এবং তথ্য কেন্দ্রগুলির জন্য প্রয়োজনীয় উচ্চ গতির ইন্টারনেট সংযোগ সরবরাহ করবে।