
মাইক্রোসফট নতুন একটি অভ্যন্তরীণ ডেভেলপার-কেন্দ্রিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) সংস্থা গঠন করেছে। এই নতুন ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্য হল কোম্পানির AI অবকাঠামো এবং সফটওয়্যার উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে দ্রুততর করা। খবর অনুযায়ী, মেটার (Meta) প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং বৈশ্বিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রধান জে পারিখ এই নতুন বিভাগের নেতৃত্ব দেবেন। তিনি মাইক্রোসফটের সিইও সত্য নাদেলা’র কাছে রিপোর্ট করবেন এবং AI প্ল্যাটফর্ম ও ডেভেলপার টিমসহ বিভিন্ন গ্রুপের তদারকি করবেন।পারিখ মেটায় থাকাকালীন টেকনিক্যাল অবকাঠামো এবং ডেটা সেন্টার প্রকল্পে কাজ করেছিলেন। অক্টোবর মাসে মাইক্রোসফটে যোগ দেওয়ার আগে, তিনি ক্লাউড সিকিউরিটি স্টার্টআপ লেসওয়ার্কের (Lacework) সিইও হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। নতুন প্রতিষ্ঠানটি CoreAI — প্ল্যাটফর্ম এবং টুলস নামে পরিচিত, এবং এটি মাইক্রোসফটের বিদ্যমান ডেভ ডিভ (Dev Div) এবং AI প্ল্যাটফর্ম টিমগুলো একত্রিত করে গঠিত হয়েছে, যার মধ্যে কিছু কর্মচারী অফিস অফ দ্য সিটিও বিভাগেরও অন্তর্ভুক্ত।CoreAI মূলত মাইক্রোসফটের ডেভেলপার টিমগুলোর পুনর্বিন্যাস করে, যাতে নিশ্চিত করা যায় AI সবসময় শীর্ষ অগ্রাধিকার হিসেবে থাকবে। মাইক্রোসফটের ব্লগে প্রকাশিত এক অভ্যন্তরীণ মেমোতে, নাদেলা বলেন যে আগামী বছরের জন্য মাইক্রোসফটের মূল লক্ষ্য হবে “মডেল-ফরওয়ার্ড” অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা, যা “সমস্ত অ্যাপ্লিকেশন শ্রেণীকে নতুন করে রূপান্তরিত করবে।”মাইক্রোসফটের এই নতুন উদ্যোগটি তাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির ক্ষেত্রে অগ্রগতির আরেকটি বড় পদক্ষেপ। এটি আরও দ্রুত এবং কার্যকরীভাবে উন্নত প্রযুক্তি তৈরি করতে সাহায্য করবে, যা কোম্পানির প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানকে শক্তিশালী করবে। এছাড়া, ডেভেলপাররা এই নতুন প্রতিষ্ঠানের আওতায় শক্তিশালী AI প্ল্যাটফর্ম ও টুলস পাবেন, যা তাদের কাজের গতিকে আরও ত্বরান্বিত করবে।এই পদক্ষেপটি মাইক্রোসফটকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে AI খাতে। কারণ, আগামী বছরগুলোতে AI প্রযুক্তি বিভিন্ন শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, এবং মাইক্রোসফট ইতিমধ্যেই সেই পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
CoreAI নতুন প্রযুক্তির পথ খুলে দিতে সক্ষম হবে এবং ভবিষ্যতে মাইক্রোসফটের ডেভেলপারদের জন্য আরও শক্তিশালী এবং উন্নত টুলস সরবরাহ করবে।এটি কেবল মাইক্রোসফটের জন্য নয়, বরং প্রযুক্তি শিল্পের জন্যও একটি বড় পরিবর্তন। প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর মধ্যে যারা AI-তে বিনিয়োগ করছে, তাদের মধ্যে মাইক্রোসফটের এই উদ্যোগ আরও আলাদা করে তুলবে। এর ফলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দ্রুত উন্নয়ন ঘটবে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রেও AI-এর প্রভাব আরও ব্যাপক হবে। মাইক্রোসফটের নতুন CoreAI বিভাগটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে তাদের উদ্ভাবনী কাজগুলোকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। এর মাধ্যমে, কোম্পানিটি তাদের প্রযুক্তিগত অবকাঠামোকে আরও শক্তিশালী করবে, যা তাদের ভবিষ্যৎ কৌশলগত লক্ষ্যগুলিকে সফল করতে সহায়ক হবে। CoreAI মূলত কোম্পানির ডেভেলপারদের জন্য এমন প্ল্যাটফর্ম ও টুলস তৈরি করবে যা তাদের আরও দ্রুত এবং কার্যকরীভাবে কাজ করার সুযোগ দেবে। এর ফলে মাইক্রোসফটের সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট এবং AI গবেষণার গতি বৃদ্ধি পাবে।জে পারিখের নেতৃত্বে, মাইক্রোসফটের এই নতুন বিভাগটি তাদের AI অগ্রগতিকে আরও কার্যকর করবে এবং নতুন প্রযুক্তির উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় আরও ত্বরান্বিত করবে। মাইক্রোসফট বর্তমানে বিভিন্ন শিল্পে AI ব্যবহারের জন্য উদ্ভাবনী পণ্য ও সেবা তৈরি করছে, এবং এই নতুন উদ্যোগ তাদের সেই পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে। পারিখের মতো একজন অভিজ্ঞ নেতার অধীনে, CoreAI প্রযুক্তির জগতে মাইক্রোসফটের অবস্থান আরও শক্তিশালী হবে।বিশেষ করে, AI প্ল্যাটফর্ম এবং টুলসের উন্নতির মাধ্যমে, ডেভেলপাররা আরও বেশি সুবিধা পাবেন যা তাদের কাজের পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনবে। এই বিভাগটির মূল লক্ষ্য হচ্ছে, মাইক্রোসফটের সফটওয়্যার এবং AI প্রযুক্তি আরো সহজ, দ্রুত এবং দক্ষ হবে। ফলে, গ্রাহকরা দ্রুত উন্নত মানের সেবা পাবেন এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের প্রযুক্তির ব্যবহার আরো বাড়াতে পারবে।মাইক্রোসফটের জন্য এটি একটি বড় পদক্ষেপ, কারণ AI-এর সাহায্যে তারা নতুন বাজারে প্রবেশ করতে পারবে এবং তাদের পণ্যগুলোকে আরও উদ্ভাবনীভাবে বাজারে এনেছে।
CoreAI, এই নতুন উদ্যোগটি, মাইক্রোসফটের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ও ভবিষ্যতের প্রযুক্তিগত উন্নতির জন্য একটি শক্তিশালী ভিত্তি প্রদান করবে।এটি ভবিষ্যতে একটি শক্তিশালী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্ল্যাটফর্মের উদ্ভাবনের পথ প্রশস্ত করবে, যা বিভিন্ন শিল্পে AI-এর প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হবে। মাইক্রোসফটের এই উদ্যোগের মাধ্যমে বিশ্বের প্রযুক্তি বাজারে আরও বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে, যা অন্য প্রযুক্তি সংস্থাগুলোকেও চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে।এছাড়া, মাইক্রোসফটের এই পদক্ষেপ তাদের প্রযুক্তিগত খ্যাতি আরও বাড়াবে এবং তাদের বর্তমান ব্যবসায়িক মডেলকে আরও উদ্ভাবনী ও আধুনিক করে তুলবে। CoreAI-এর উন্নয়ন মাইক্রোসফটকে আরও দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা প্রদান করবে, যা তাদের ব্যবসায়িক কৌশলগুলিকে আরও প্রভাবশালী করবে।মাইক্রোসফট জানে যে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আগামী দিনগুলোতে প্রযুক্তির ভবিষ্যত হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, এবং সেই কারণে তারা এর উন্নয়ন ও ব্যবহারে প্রথম থেকেই আগ্রহী। নতুন AI প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে, মাইক্রোসফট তাদের সফটওয়্যার এবং ক্লাউড সেবাগুলিকে আরও শক্তিশালী করতে পারবে, যা তাদের গ্রাহকদের আরও ভালো সেবা প্রদান করবে।কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নতির মাধ্যমে, মাইক্রোসফট বিভিন্ন নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে এবং একই সাথে নতুন সেবা ও পণ্য বাজারে নিয়ে আসবে। মাইক্রোসফটের AI ইনোভেশন আরও কার্যকরী হয়ে উঠবে এবং এর ফলে কোম্পানির ভবিষ্যৎ আরও উজ্জ্বল হবে।