র প্রাইভেট বা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযথ ভাবে মুক্তিযোদ্ধা কোটা অনুসরণ ও শূন্য খরচে পড়াশোনার সুযোগ প্রদান নিশ্চিত করতে চায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম, কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি অহিদুল ইসলাম তুষার। এজন্য গত (২৮ মে,২০২৪ খ্রি.) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর চিঠি দেন।
জানা যায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ এ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকৃত পূর্ণকালীন শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম শতকরা তিন ভাগ আসন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য সংরক্ষণ, টিউশন ফি ও অন্যান্য ফি ব্যতিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সুযোগ প্রদানের কথা বলা হয়। কিন্তু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলো বিভিন্ন অযুহাতে সরকারের দেওয়া এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করছে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের।
এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম, কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি অহিদুল ইসলাম তুষারের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্পূর্ণ শূন্য খরচে ৩% আসন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য সংরক্ষণ করে দেওয়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ এ কিন্তু বিভিন্ন অযুহাতে মানা হচ্ছেনা। এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে ২০২২ সালে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সচিবের দপ্তর, বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের সচিবের দপ্তর এবং মাননীয় শিক্ষা উপমন্ত্রীর দপ্তরে চিঠি দিই এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের একাদিক কর্মকর্তাদের সাথে এ বিষয়ে কথা বলি কিন্তু দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখিনি। তাই যথাযথ ভাবে কোটা অনুসরণ, অন্যান্য আনুষঙ্গিক ফি ছাড়া সম্পূর্ণ বিনা বেতনে পড়াশোনার সুযোগ প্রদান এবং মুক্তিযোদ্ধার সন্তান না পাওয়া গেলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতোই নাতি নাতনিদের নেওয়ার জন্য আবেদন করেছি। এবং কর্তপক্ষ যদি ব্যবস্থা নিতে না পারে তাহলে যারা আইন তৈরি করেছে এবং এ আইনের সাথে সংশ্লিষ্ট সবার বিরুদ্ধে কোর্টে যাবো আইনকে ইমপ্লিমেন্টেশন করাতে আর না হয় আইন সংশোধন করে কোটার অংশ বাতিল করবে মি. অহিদুল ইসলাম যোগ করেন।
এর আগেও মি. অহিদুল ইসলাম মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কল্যাণে নানা কল্যাণমূলক পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে জানা যায়। তিনিই প্রথম বিকেএসপিতে এ বছর থেকে মুক্তিযোদ্ধা কোটা কার্যকর করিয়েছেন, রিট করে মেডিক্যাল /ডেন্টাল / নার্সিং এ ৫% কোটা কার্যকর করিয়ে প্রায় ৮০০+ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারে সদস্যদের ভর্তি করাতে সক্ষম হউন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পাওয়া না গেলে নাতি নাতনিদের ভর্তির সুযোগ প্রদানে সফল হয়েছেন, বিভিন্ন দপ্তরে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ না মানায় সেখানেও তদারকি করে সফল হয়েছেন, সকল শ্রেনির চাকরিতে কোটা পুনর্বহালে ও প্রাইমারিতে কোটা পুনর্বহালসহ তার করা চারটি মামলা হাইকোর্টে চলমান আছে, বাংলাদেশের যেখানে বীর মুক্তিযোদ্ধা/ তাদের পরিবার নিপীড়িত নির্যাতিত হচ্ছেন তাদের পাশে দাড়াচ্ছেন, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কল্যাণে এমন শত শত কল্যাণকর কাজ তিনি প্রতিনিয়ত করে যাচ্ছেন বলে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের মুখ থেকে শোনা যায়।