২৩ নভেম্বর, ২০২৪, রোজ শনিবার সকাল ১০টায় ঢাকার গুলশান-২ এ অবস্থিত সিক্স সিজনস্ হোটেল এর হেমন্ত হলে সেন্টার ফর গভর্নেন্স এন্ড ডেভেলপমেন্ট এবং ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশের সংবিধান সংস্কার বিষয়ক আলোচনার দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত আলোচনায় বক্তব্য প্রদান করেন প্রফেসর ড. লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, (বি.এন.সি.সি,ও) ও চেয়ারম্যান (জানিপপ); ইকতেদার আহমেদ, সাবেক জজ ও কলামিস্ট; প্রফেসর ড. নুরুল আমিন বেপারী, সাবেক অধ্যাপক, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, চেয়ারম্যান, বোর্ড অব ট্রাস্টিজ, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি; ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, যুগ্ম সদস্য সচিব, এবিপার্টি; ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, রাজনীতিবিদ; কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, অব: প্রিন্সিপাল সেক্রেটারী; সাংবাদিক মাসুদ কামাল প্রমুখ। উক্ত আলোচনাটি পরিচালনা করেন প্রফেসর ড. মোঃ শরিফুল আলম, ডিরেক্টর, বাংলাদেশ সেন্টার ফর গভর্নেন্স এন্ড ডেভেলপমেন্ট এবং রিসার্চ এন্ড পাবলিকেশন সেল, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।
ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী তার আলোচনায় বলেন, সংবিধান এমনভাবে সংশোধন করতে হবে যাতে করে রাষ্ট্রযন্ত্র অচল না হয় এবং সংবিধানে রাষ্টপ্রতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্যের প্রয়োজন। ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা উল্লেখ করেন, নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে হলে সংবিধান বুঝে পড়তে হবে। সিনিয়র সাংবাদিক মাসুদ কামাল মন্তব্য করেন, ১৯৭২ এর সংবিধান বাতিল করলে বাংলাদেশের স্বকীয়তা থাকবে না।
প্রফেসর ড. লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে তাড়াহুড়ো করে সংবিধান চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল। ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ তার উল্লেখ করেন, ১৯৭২ এর সংবিধান বদলাতে হবে এবং জাতির গোড়ায় যে ভুল হয়েছে তা সংশোধন করতে হবে। ইকতেদার আহমেদ বলেন, সংবিধানের তিনটি বাদে বাকি সংশোধনগুলো দলীয় স্বার্থে করা হয়েছে। প্রফেসর ড. নুরুল আমিন বেপারী বর্তমান সরকারের বিপ্লবী বৈধতা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন।
উল্লেখ্য যে, আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।