চলতি মাস (জানুয়ারি) থেকেই গেটওয়েতে আটকে থাকা গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে আলোচিত-সমালোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি।
এছাড়া আগামী মে মাস থেকে চেকসহ পুরাতন সকল দেনার টাকা পরিশোধ করা শুরু করা হবে বলেও জানান তিনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রাসেল বলেন, আমরা প্রথম দিন থেকেই গ্রাহক ও মার্চেন্ট থেকে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। প্রথম ক্যাম্পেইনে আমরা ৮০ হাজার অর্ডারের বিপরীতে দুই লক্ষাধিক পণ্যের অর্ডার পেয়েছি। প্রথম ক্যাম্পেইন থেকেই আমরা মুনাফা করতে শুরু করেছি। আমরা চলতি মাসে গেটওয়েতে থাকা গ্রাহকের টাকা ফেরত দেবো।
ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী বলেন, মুনাফার টাকা দিয়ে আগামী মে মাস থেকে চেকসহ পুরাতন সকল দেনার টাকা পরিশোধ করতে শুরু করবো। অর্ডারের ক্রমানুযায়ী সকল গ্রাহকের মূল টাকা ধাপে ধাপে পরিশোধ করা হবে। খুব তাড়াতাড়ি গ্রাহকরা তাদের পুরাতন ডাটা দেখতে পারবেন। এ সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
রাসেল বলেন, ইভ্যালির নতুন ব্যবসায়ীক পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সকল পণ্য সিওডিতে (ক্যাশ অন ডেলিভারি) দিচ্ছি। আগে গ্রাহকরা পণ্য পাওয়ার আগেই সরাসরি ইভ্যালিকে টাকা পরিশোধ করত। কিন্তু এবার ক্যাশ অন ডেলিভারি হওয়ায় গ্রাহকের কোনো ঝুঁকি নেই। এ ছাড়া গ্রাহকের পরিশোধ করা পণ্যের মূল্য এখন থেকে সরাসরি বিক্রেতার কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। ফলে বিক্রেতারও কোনো বাকি পড়ার ঝুঁকি নেই। মার্চেন্ট থেকে ই-কুরিয়ার সরাসরি পণ্য নিয়ে গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে।
তিনি বলেন, আগে গ্রাহক পণ্য হাতে বুঝে পাবে এরপর মূল্য পরিশোধ করবে। এখানে অর্ডার নেওয়া ছাড়া কোনো কার্যক্রমে ইভ্যালি অংশ নিচ্ছে না। ফলে আমরা আরো স্বচ্ছতার সঙ্গে গ্রাহকের কাছে দ্রুত পণ্য পৌঁছে দিতে পারছি।
অন্য একটি প্রশ্নের জবাবে রাসেল বলেন, আগে বেশিরভাগ পণ্যই লোকসানে বিক্রি করা হতো।
রাসেল দাবি করেন, এবার প্রায় সব পণ্যে সামান্য পরিমাণ লাভ রাখা হয়েছে। এই লাভের অর্থ দিয়ে কোম্পানির মাসিক ব্যয় মেটানো সম্ভব হবে। এজন্য ইভ্যালিকে নতুন করে কোনো দেনায় পড়তে হবে না।
একইসঙ্গে লাভের পরিমাণ বাড়ছে বলে দ্রুত পুরাতন বকেয়ার টাকা ফেরত দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।