আজকে জোমাটোর নাম কে না জানে! কিন্তু এর শুরুটাও একদিন হয়েছিল শূন্য থেকে। জোমাটো হল ফার্স্ট ইন্ডিয়ান ইউনিকর্ন স্টার্টআপ যা শেয়ার মার্কেটে লিস্টেড হল। আমাদের আগে বুঝতে হবে ইউনিকর্ন কি জিনিস, যে কোম্পানির টোটাল সম্পত্তির পরিমাণ ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি হয় তাকে ইউনিকর্ন বলা হয়। ১ বিলিয়ন ডলার মানে ১০০ কোটি ডলার বা ৭৪০০ কোটি টাকা । জোমাটোর টোটাল সম্পত্তির পরিমাণ রাখা হয়েছিল প্রায় ৬৫ হাজার কোটি টাকা। ২৩শে জুলাই যখন শেয়ার মার্কেটে লিস্টিং হলো এর টোটাল সম্পত্তির পরিমাণ দাঁড়ালো এক লক্ষ কোটি টাকা ওয়ান ট্রিলিয়ন রুপিজ যেটা একটা অবিশ্বাস্য অ্যামাউন্ট।
ভারতে খুব বেশি কোম্পানির টোটাল সম্পত্তির পরিমাণ এক লক্ষ কোটি টাকার বেশি নয়। আমরা যদি ভারতের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম দেখি তাহলে লাস্ট ১০ বছরে ভারতে প্রচুর নতুন স্টার্টআপ উঠে এসেছে কিন্তু তাদের মধ্যে প্রথম ইউনিকর্ণ স্টার্টআপ হিসেবে জোমাটো শেয়ার মার্কেটে লিস্টেড হলো এবং এর ভ্যালুয়েশন দাঁড়াল এক লক্ষ কোটি টাকার বেশি। স্টার্টআপ সেই কোম্পানিকে বলা হয় যারা ট্র্যাডিশনাল বিজনেস বা প্রথাগত ব্যাবসার বাইরে নতুন কোনো ইউনিক বিষয়ে ব্যাবসা শুরু করে। লিস্টিং এর জন্য জোমাটোর একটা শেয়ারের দাম রাখা হয়েছিল ৭৬ টাকা করে, লিস্টিং হল ১১৬ টাকায় আর দিনের শেষে বাজার বন্ধের সময় প্রাইস বেড়ে দাড়ালো ১২৬ টাকা।
জোমাটোর শুরুটা হয়েছিল হঠাৎই। দীপিন্দর সিং গোয়েল ও পঙ্কজ চাড্ডা দিল্লির একটি কোম্পানিতে একসাথে চাকরি করতেন। তাঁরা একটা সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন। প্রতিদিন দুপুরে লাঞ্চ আওয়ারে দেখতেন খাওয়ার দোকানগুলোর সামনে প্রচুর ভিড়। এতে অনেক সময় নষ্ট হতো তাই তাঁরা ঠিক করলেন একটা অনলাইন কোম্পানি খুলবেন যেখানে শহরের সমস্ত রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার ডেলিভারি দেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে। কোম্পানির খুলে ফেললেন এবং নাম দিলেন ফুডিবে এরপর ২০১০ সালে কোম্পানির নাম চেঞ্জ করে রাখা হল জোমাটো। প্রথমে ওয়েবসাইটে অর্ডার নেওয়া হতো। ২০১২ সালে নিজেদের অ্যাপ লঞ্চ করলো। তারপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি। তবে ২০২০ তে লকডাউনের জন্য কিছু প্রবলেম ফেস করেছিল কোম্পানি কিন্তু এখন মোটামুটি সেগুলো ওভারকাম হয়ে গেছে। তারপর এখন তো ইতিহাস রচিত হলো।