ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কিউকমের কাছে গ্রাহকের পাওনা ২৫০ কোটি টাকা এবং পাশাপাশি পেমেন্ট গেটওয়েতে তাদের ৩৯৭ কোটি টাকা আটকে থাকার কথা তথ্য জানা যায়। আজ সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার এ তথ্য জানান।
ডিবি প্রধান জানান, কিউকম মূলত মোটরসাইকেলকে প্রাধান্য দিয়ে ব্যবসার প্রসার ঘটায়। ক্রেতাকে আকৃষ্ট করার জন্য তারা ‘বিজয় আওয়ার’, ‘স্বাধীনতা আওয়ার’, ‘বিগ বিলিয়ন’ ইত্যাদি অফার দিয়ে অনেক কম দামে মোটরসাইকেল বিক্রির কথা বলত। ১ লাখ ৬৭ হাজার টাকার মোটরসাইকেল ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় পাওয়ার অফার পেয়ে ক্রেতারা নগদ টাকা পরিশোধের মাধ্যমে মোটরসাইকেল অর্ডার করেন। কিন্তু সময়মত পণ্য না পেয়ে ক্রেতারা কিউকমে যোগাযোগ করেন।
এরপর কিউকম লাভে টাকা ফেরত নেওয়ার অফার দিলে ক্রেতারা লোভে পড়ে কিউকমের কাছ থেকে টাকার চেক গ্রহণ করেন। কিন্তু, বাংলাদেশ ব্যাংক গত জুন মাসে এসক্রো সিস্টেম চালু করে। এ পদ্ধতিতে ক্রেতা পণ্য বুঝে পাওয়ার আগ পর্যন্ত ই-কমার্স কোম্পানি টাকা পায় না। ক্রেতার টাকা বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকে। কিউকমের পেমেন্ট গেটওয়ে ফস্টার। কিউকমে পণ্য অর্ডার করলে ক্রেতার পেমেন্ট ফস্টারের কাছে জমা থাকে।
কিউকম ক্রেতার কাছে পণ্য পৌঁছে দিয়ে চালানসহ ডকুমেন্ট ফস্টারে জমা দিলে ফস্টার ক্রেতাকে ফোন করে পণ্য বুঝে পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এরপর কিউকম টাকা পায়। কিন্তু, ক্রেতা পণ্য বুঝে না পাওয়ায় ফস্টার কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রুফ অফ ডেলিভারি নির্দেশনা অনুযায়ী কিউকমের টাকা আটকে দেয়। ফলে ক্রেতারা পণ্য বা টাকা কোনটিই পাননি।
এর আগে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় গতকাল রোববার রাজধানীর ধানমণ্ডি থেকে কিউকম এর সিইও মো. রিপন মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ।