ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও প্রায় অর্ধশত নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে শিশুরাও হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গাজার মেডিকেল সূত্র জানিয়েছে, বুধবার ইসরায়েলি হামলায় গাজায় আরও অন্তত ৪৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৯ শিশু রয়েছেন।
আলজাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪১ হাজার ২৫২ জনে দাঁড়িয়েছে। এ হামলায় নিহতদের মধ্যে ১৬ হাজার ৫০০ শিশুসহ শিশু রয়েছেন। এ ছাড়া হামলায় নিখোঁজ রয়েছেন আরও অন্তত ১০ হাজার শিশু।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের এ হামলায় সব মিলিয়ে গাজার ৯৫ হাজার ৪৯৭ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে অধিকৃত পশ্চিম তীরের রয়েছেন পাঁচ হাজার ৭০০ জনের বেশি।
অন্যদিকে ফিলিস্তিনিদের হামলায় ইসরায়েলে এক হাজার ১৩৯ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও অন্তত আট হাজার ৭৩০ জন।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস। দেশটির এ হামলার জবাবে পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এরপর থেকে এ যুদ্ধ শুরু হয়। ক্রমেই তীব্র থেকে তীব্রতর রূপ নেয় যুদ্ধ। এরপর থেকে গাজার ওপর বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এমনকি তাদের হামলা থেকে রেহাই পায়নি হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদসহ ধর্মীয় স্থাপনাও।
জাতিসংঘের সংস্থাগুলো বলছে, ইসরায়েলি আগ্রাসনের ফলে গাজার ৯০ শতাংশ বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এ ছাড়া সেখানবার কয়েক লাখ মানুষ বিপর্যকর ক্ষুধার সম্মুখীন। এমনকি উপত্যকাটির বেশির ভাগ হাসপাতালও বন্ধ অবস্থায় রয়েছে।
সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে গাজার ২০ লাখ বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। দেশটির হামলার কারণে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, ইসরায়েলে হামলায় বাস্তুচ্যুত হয়েছেন গাজার ৮৫ শতাংশ বাসিন্দা। খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি আর ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন তারা। এ ছাড়া ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক আদালতে গাজায় গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে দেশটি।