করোনা মহামারির মধ্যে দেশে ই–কমার্স খাতে এক লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে বলে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এক গবেষণায় উঠে এসেছে। আগামী এক বছরের মধ্যে ডিজিটাল অর্থনীতিতে নতুন করে আরও পাঁচ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে জানিয়েছে গবেষণা সংস্থাটি।
ভার্চ্যুয়াল সভায় গবেষণা প্রতিবেদনটি তুলে ধরেন সিপিডির জ্যেষ্ঠ গবেষণা সহকারী সৈয়দ ইউসুফ সাদাত।
এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সিপিডির বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন, পাঠাও লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হোসাইন ইলিয়াস, সেবা প্ল্যাটফর্ম লিমিটেডের সিইও ইলমুল হক সজীবসহ অন্যরা।
গবেষণায় দেখা গেছে, ইন্টারনেট সেবা সহজলভ্য হওয়ায় ডিজিটাল অর্থনীতির বিকাশ ঘটছে প্রতিনিয়ত। দেশে এখন ক্রিয়েটিভ ও মাল্টিমিডিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন ১৯ হাজার ৫৫২ জন। ফেসবুককেন্দ্রিক উদ্যোক্তা ৫০ হাজার, ই–ক্যাবের সদস্য আছে ১ হাজার ৩০০ জন, ওয়েবসাইটভিত্তিক উদ্যোক্তার সংখ্যা দুই হাজার।
গবেষণায় বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের কথাও তুলে ধরা হয়। বলা হয়েছে, ডিজিটাল অর্থনীতিতে পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করা বেশ চ্যালেঞ্জের। এ ছাড়া সময় মতো পণ্যের ডেলিভারি করা এবং ব্যবস্থাপনাতে আরও ভালো করতে হবে।
সভায় বক্তারা বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবিলা করতে হলে দক্ষ জনবল তৈরি করতে হবে। প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হবে। নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে আরও সহজভাবে সেবা দিতে হবে।