‘সৃষ্টি সুখের উল্লাসে’ স্লোগানকে সামনে রেখে ‘ওয়ালটন রিসার্চ অ্যান্ড ইনােভেশন সামিট-২০২১’-এ এসব কথা বলেছেন বক্তারা। অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে দিনব্যাপী এ সামিট অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশীয় প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন শিল্পে ওয়ালটনের অগ্রগতি, নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার, গবেষণাকর্ম ও উদ্ভাবনী কার্যক্রম প্রদর্শন এবং এসংক্রান্ত জ্ঞানের বিনিময় হয়। দেশের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি খাতের গবেষক ও বিশেষজ্ঞসহ সম্মেলনে ওয়ালটনে কর্মরত প্রায় এক হাজার প্রকোশলী যোগ দেন।
সামিটের উদ্বোধন করেন লেখক ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিসটিংগুইজড প্রফেসর ও কম্পিউটার বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. কায়কোবাদ, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান এস এম শামসুল আলম এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গােলাম মুর্শেদ।
ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ও চিত্রনায়ক আমিন খানের সঞ্চালনায় এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন রুয়েটের অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক, ড. মাে. ফারুক হােসেন ও ড. নীরেন্দ্র নাথ মুস্তাফি, আইওটি’র অধ্যাপক ড. আশরাফুল হক, ড. এনায়েতউল্লাহ পাটোয়ারী, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের এএমডি আবুল বাশার হাওলাদার, ডিএমডি নজরুল ইসলাম সরকার, ইভা রিজওয়ানা নিলু, এমদাদুল হক সরকার, হুমায়ুন কবীর, আলমগীর আলম সরকার, সিনিয়র ইডি এস এম জাহিদ হাসান, উদয় হাকিম, কর্নেল (অবঃ) শাহাদাত আলম, তানভীর রহমান, তাপস কুমার মজুমদার, ফিরােজ আলম, আনিসুর রহমান মল্লিক, ইডি আজিজুল হাকিম প্রমুখ।
সম্মেলনে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, সারা জীবন স্বপ্ন দেখেছি বাংলাদেশে পূর্ণাঙ্গ একটি রিসার্চ অ্যান্ড ইনােভেশন সেন্টার হবে। ওয়ালটনের মাধ্যমে আজ সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। রিসার্চ অ্যান্ড ইনােভেশন কাজে চ্যালেঞ্জ আছে। ওয়ালটনের তরুণ ও মেধাবী প্রকৌশলীরা সেই চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করছে। তারা বাংলাদেশের ভবিষ্যত। আমি চাই তাদের পরিকল্পনাগুলাে বাস্তবায়িত হােক। ওয়ালটন সারা বিশ্বে বাংলাদেশকে আরাে ব্যাপকভাবে তুলে ধরুক।
ড. কায়কোবাদ বলেন, ওয়ালটন কারখানায় এলে গর্বে আমার বুকটা ভরে যায়। বাংলাদেশের মানুষের প্রযুক্তিগত দক্ষতা আছে। ওয়ালটন সেই দক্ষতাকে আরাে উন্নত করেছে। ওয়ালটনের পণ্য রপ্তানি হওয়ার সঙ্গে বিশ্বে বাংলাদেশের প্রযুক্তিগত ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হচ্ছে। দেশের প্রকৌশলী ও বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা এখানে কাজের সুযােগ পাচ্ছে। তাদের মেধার প্রকাশ ঘটাতে পারছে। বাংলাদেশি হিসেবে আমি গর্বিত যে ওয়ালটনের মতাে শিল্পপ্রতিষ্ঠান
আমাদের আছে।
এস এম শামসুল আলম বলেন, ওয়ালটন দেশের মেধাবী প্রকৌশলীদের কাজের ক্ষেত্র তৈরি করেছে। আমরা যদি দেশের মেধা ধরে রাখতে এবং কাজে লাগাতে পারি, তবেই দ্রুত উন্নয়ন সম্ভব। ওয়ালটনের মেধাবী প্রকৌশলীরা এ
খাতে ব্যাপক অবদান রেখে চলেছেন।
ওয়ালটনের তরুণ প্রকৌশলীদের উদ্দেশ্যে গােলাম মুর্শেদ বলেন, ওয়ালটনের কর্মীরা স্বপ্ন দেখতে জানে, কাজ করতে জানে। আমাদের প্রত্যেকেরই এই দেশে জন্ম নেয়ার একটি উদ্দেশ্য আছে। যা স্বার্থক করতে হবে। এ দেশের প্রতি আমাদের কর্তব্য আছে। সেটা পালন করতে হবে। রিসার্চ অ্যান্ড ইনােভেশন সেন্টারে থাকবে সৃষ্টির সুখ, আনন্দ ও উল্লাস। আমরা ইনােভেশন দিয়েই পৃথিবী জয় করবাে।
সম্মেলনের আহ্বায়ক ওয়ালটনের চিফ রিসার্চ অ্যান্ড ইনােভেশন অফিসার প্রকৌশলী তাপস কুমার মজুমদার বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে অন্যতম সেরা গ্লোবাল ব্র্যান্ড হয়ে ওঠার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ওয়ালটন। সামিটের উদ্দেশ্য ছিলাে ওয়ালটন পণ্যের প্রযুক্তিগত গবেষণা ও উন্নয়ন সম্পর্কে সবাইকে জানানাে।
এর আগে সামিটের প্রথম পর্বে অতিথিরা ওয়ালটনের রিসার্চ এন্ড ইনােভেশন বুথগুলাে ঘুরে দেখেন। এ সময় ওয়ালটনের রিসার্চ অ্যান্ড ইনােভেশন সেন্টারের নামফলক উন্মোচন করা হয়। দ্বিতীয় পর্বে অতিথিরা রিসার্চ অ্যান্ড ইনােভেশন ব্রোসিউর উম্মােচন করেন।