নারায়ণগঞ্জের গাজী টায়ার কারখানার আগুন এখনো জ্বলছে। রবিবার (২৫ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে কারখানার পেছনের দিকের ৫ তলা ভবনে আগুনের সূত্রপাত হয়। এসময় খবর পেয়ে একে একে ছুটে আসে আশেপাশে বিভিন্ন ফায়ার স্টেশনের ১১টি ইউনিট। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। থেমে থেমে বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে আশপাশের এলাকা।
স্থানীয়রা জানান, সাবেক মন্ত্রী ও গাজী গ্রুপের চেয়ারম্যান গোলাম দস্তগীর গাজীকে গ্রেপ্তারের পর থেকে কারখানাটিতে গণহারে লুটপাট শুরু হয়। লুটপাটের মধ্যেই এই আগুনের ঘটনা ঘটে। ভেতরে অনেকে আটকা পড়েছেন বলেও দাবি স্থানীয়দের। কারখানার অবকাঠামো এবং টায়ার উৎপানের দাহ্য পদার্থের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা।
ভবনটির ভেতরে থাকা স্বজনদের ফেরার অপেক্ষায় পরিবার পরিজনের আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠে কারখানা এলাকা। ১১টি ইউনিট একযোগে কাজ করেও আগুন সারারাতে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। অবকাঠামোগত ও ভেতরে থাকা টায়ার উৎপাদনের দাহ্য পদার্থের কারণে ব্যাপারটি জটিল হয়ে পড়েছে বলে জানায় দমকল কর্মকর্তারা। আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসলে কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম বলেন, অবকাঠামোগত ও ভেতরে থাকা টায়ার উৎপাদনের দাহ্য পদার্থের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা ও ভেতরে আটকা পড়াদের উদ্ধারের বিষয়টি জটিল হয়ে পড়েছে। আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসলে কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।