ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেলের মুক্তির দাবিতে এবার আদালতের সামনে বিক্ষোভ করেছেন গ্রাহকরা।
শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে এ বিক্ষোভ করেন তারা।
গতকাল দুপুর ২টার দিকে ইভ্যালির সিইও রাসেল ও তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে আদালতে আনা হয়। পরে বিকেল ৩টার দিকে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে আদালত রাসেল ও তার স্ত্রীর তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ খবর শোনার পর ৪০-৫০ জন গ্রাহক আদালতের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন।
তারা ইভ্যালির সিইও রাসেল ও তার স্ত্রী নাসরিনের মুক্তি দাবি করেন। তাদের দাবি- রাসেলকে গ্রেফতার না করা হলে তারা দ্রুত পণ্য অথবা টাকা ফেরত পেতেন। তবে রাসেল ও তার স্ত্রীকে গ্রেফতার এবং রিমাবডে নেওয়ায় তাদের টাকা ফেরত পাওয়া নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এজন্য তারা বিক্ষোভ করছেন।
পরে পুলিশ তাদেরকে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। এসময় একজনকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন কোতয়ালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মো. নাজমুল হোসেন।
তিনি জানান, বিক্ষোভকারীদের আদালতের সামনে থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এসময় একজনকে থানায় নেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করে পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে রাসেল ও শামীমা নাসরিনকে গ্রেফতার করা হয়। মুহূর্তে সেই খবর ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে। গণমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদ দেখে ইভ্যালি সিইও’র বাসার সামনে জড়ো হন ভুক্তভোগী গ্রাহকরা।
তাদের বেশিরভাগই ছিলেন গ্রেফতারের বিপক্ষে। এসময় গ্রাহকরা রাসেল ও তার স্ত্রীর মুক্তির দাবিতে নানা ধরনের স্লোগান দেন। তারা বলেন, ইভ্যালি থাকলে তারা টাকা ফেরত পাবেন। না হলে ‘যুবক’, ‘ডেসটিনি’র মতো অবস্থা হবে।
এছাড়া ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমার মুক্তির দাবিতে আজ শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচির ডাক দেন ভুক্তভোগীরা।
তবে র্যাব বলছে, বিদেশী কোম্পানির কাছে ইভ্যালি বিক্রি করে লভ্যাংশ নিতে চেয়েছিলেন সিইও মোহাম্মদ রাসেল। এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তিনি বিভিন্ন দেশও ভ্রমণ করেন।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর কুর্মিটোলায় র্যাব সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব তথ্য জানান।