আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ সিজন-২ এর আয়োজনে চট্টগ্রাম বিভাগীয় মেন্টর মিটআপ ৩০ নভেম্বর ২০২৪ চট্টগ্রাম শহরে অনুষ্ঠিত হয়েছে, যা দেশের আইসিটি শিক্ষার উন্নয়ন ও প্রযুক্তিগত দক্ষতার প্রসারে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। এই মিটআপে চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের প্রায় ৫০ জন আইসিটি শিক্ষক ও শ্রেণী শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন। ইভেন্টটির মূল লক্ষ্য ছিল আইসিটি শিক্ষকদের মধ্যে প্রযুক্তিগত জ্ঞান ও উদ্ভাবনী চিন্তা বৃদ্ধি করা, যাতে তারা তাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং সৃজনশীলতার উন্মেষ ঘটাতে পারেন।
অনুষ্ঠানে আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ শাহরিয়ার খান, প্রকল্প পরিচালক এম. আব্দুল্লাহ এবং চট্টগ্রাম ডিভিশনাল মেন্টর কনভেনার মোহাম্মাদ আব্দুল মান্নানসহ অন্যান্য অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন এবং তারা আইসিটি শিক্ষার বর্তমান পরিস্থিতি ও ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন। তারা উল্লেখ করেন যে, আধুনিক প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আইসিটি দক্ষতা ও উদ্ভাবনী চিন্তা তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনুষ্ঠানে, বিশেষভাবে আলোচনা হয় কিভাবে আইসিটি অলিম্পিয়াডের মাধ্যমে দেশের শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিগত ও উদ্ভাবনী দক্ষতাকে আরও শক্তিশালী করা যেতে পারে। বক্তারা মনে করেন, এই ধরনের অলিম্পিয়াড শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বড় সুযোগ, যা তাদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা উন্নত করবে।
মিটআপে উপস্থিত ছিলেন বাকলিয়া সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জনাব আজিজুল ইসলাম, দক্ষিণ পতেঙ্গা সিটি কর্পোরেশন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোখলেসুর রহমান, চট্টগ্রাম নৌবাহিনী স্কুল ও কলেজের কো-অর্ডিনেটর নুরুল ইসলাম ভূঁইয়া, চট্টগ্রাম নৌবাহিনী স্কুল ও কলেজের সহকারি অধ্যাপক মোহাম্মাদ ইকবাল, পূর্ব মাদারবাড়ি সিটি কর্পোরেশন গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক নুরুল আজিজ, উত্তর কাট্টালি আলহাজ্ব মোস্তফা হাকিম হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো: সোহরাব হোসেন, চরনদ্বীপ দেওয়ান বিবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইসমাত ফারজানা, নওয়াপাড়া ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক সালসাবিল করিম চৌধুরী,
কদম মোবারক মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী হাইস্কুলের সহকারি প্রধান শিক্ষক সিত্তুন নাবিলা সিদ্দিকা, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কায়সার নিলুফার কলেজের প্রভাষক সাগর কান্তি দে, কাপাশগোলা সিটি কর্পোরেশন মহিলা কলেজের প্রভাষক মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, কৃষ্ণকুমারী সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক লুৎফুন্নেসা খানম, কাফকো স্কুল এন্ড কলেজের জেষ্ঠ্য শিক্ষক মো: সিরাজ হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের জেষ্ঠ্য শিক্ষক মো: জামাল উদ্দিন, নাসিরাবাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের জেষ্ঠ্য শিক্ষক দেবাশীষ নন্দী, ফেনী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের জেষ্ঠ্য শিক্ষক সাহাব উদ্দিন মাহমুদ, নাসিরাবাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের জেষ্ঠ্য শিক্ষক মো: আব্দুল মজিদ, নৌবাহিনী স্কুল এন্ড কলেজের জেষ্ঠ্য শিক্ষক কাজী আমেনা সুলতানা, হালিশহর হাউজিং এস্টেট হাই স্কুলের সহকারি প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল মতিন, আগ্রাবাদ সরকারি কলোনী উচ্চ বিদ্যালয়ের জেষ্ঠ্য শিক্ষক মোঃ জহুরুল ইসলাম, বায়তুশ শরফ কামিল মাদ্রাসার জেষ্ঠ্য শিক্ষক মোহাম্মাদ সাইফুদ্দিন, ডাঃ খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের জেষ্ঠ্য শিক্ষক মোশফেকা আক্তার চৌধুরী, হালিশহর আহমেদ মিয়া সিটি কর্পোরেশন গার্লস হাইস্কুলের সহকারি শিক্ষক উর্মী বড়ুয়া, নাজিরহাট কলেজিয়েট হাইস্কুলর শিক্ষক মোঃ নাসির উদ্দিন, সেলিনা কাদের চৌধুরী ডিগ্রী কলেজের সহকারি অধ্যাপক ইমতিয়াজ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, সাউথ করালডেঙ্গা সরকারি প্রাইমারি স্কুলের সহকারি শিক্ষক মোঃ ফারুক ইসলাম, ইস্পাহানি পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের আইসিটি শিক্ষক মোঃ শরিফুল আজগর, বিএফ শাহীন কলেজ, চট্টগ্রামের সহকারি শিক্ষক শেখ মোঃ আলী আব্বাস, খন্দকিয়া সামাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক সৈয়দা নিশাত সুলতানা,
উত্তর ফতেহাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক শুভ্র আল আমিন, কাপাশগোলা সিটি কর্পোরেশন গার্লস হাইস্কুলের সহকারি শিক্ষক মোঃ মঈনুদ্দিন আল হিমেল, চরনদ্বীপ সিকদারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক কালাম ফেরদৌসি শান্তা, গরীব-এ-নেওয়াজ হাইস্কুলের সহকারি শিক্ষক বিবি হাওয়া, ফৌজদারহাট খয়রাতি মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক নাসরিন আক্তার, সিলভার বেলস গার্লস হাইস্কুলের সহকারি শিক্ষক নওশীন আহমেদ, বেগম ইকবাল জাকারিয়া হোসেন গার্লস হাইস্কুলের সহকারি প্রধান শিক্ষক পার্থ সারথী নাথ, জামেয়া আহমেদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক, বাগমনিরাম আব্দুর রশিদ সিটি কর্পোরেশন বয়েজ হাইস্কুলের জেষ্ঠ্য শিক্ষক রুমিলা বড়ুয়া, কাপাশগোলা সিটি কর্পোরেশন মহিলা কলেজের জেষ্ঠ্য শিক্ষক ফারহানা রহমান, হাসনা হেনা গার্লস হাইস্কুলের জেষ্ঠ্য শিক্ষক সৈয়দা শাহীনুর পারভীন এবং সহকারি শিক্ষক মোহাম্মাদ আলমগীর উপস্থিত থেকে তাদের অভিজ্ঞতা ও মতামত শেয়ার করেছেন এবং আইসিটি শিক্ষার উন্নতি নিয়ে আলোচনা করেছেন।
শিক্ষকদের মতে, দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আধুনিক প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জন এবং উদ্ভাবন তৈরি করতে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ এবং পরিবেশ তৈরির জন্য এই ধরনের মিটআপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারা মনে করেন যে, আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম, যা শিক্ষকদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা বাড়ানোর সুযোগ প্রদান করছে। এর মাধ্যমে তারা তাদের শ্রেণীকক্ষে আরও কার্যকরী উপায়ে আইসিটি শিক্ষার প্রয়োগ করতে পারবেন। মিটআপের মাধ্যমে শিক্ষকদের মধ্যে একতাবদ্ধতার অনুভূতি তৈরি হয়েছে, এবং তারা একে অপরের সঙ্গে প্রযুক্তি ও শিক্ষার বিষয়ে মতবিনিময় করতে সক্ষম হচ্ছেন।
এই মিটআপটি শুধু আইসিটি শিক্ষার উন্নয়ন নয়, বরং দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় প্রযুক্তির ভূমিকা সম্পর্কে নতুন ধারণা সৃষ্টি করেছে। এতে অংশগ্রহণকারীরা জানতে পেরেছেন যে, একসাথে কাজ করার মাধ্যমে তারা প্রযুক্তিগত শিক্ষায় আরও বড় পরিবর্তন আনা সম্ভব। আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ এই কার্যক্রমের মাধ্যমে আরও বৃহত্তর পরিসরে প্রযুক্তিগত শিক্ষার উন্নয়ন ঘটানোর লক্ষ্যে কাজ করছে। এর মাধ্যমে দেশের শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতের প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত হতে পারবে, এবং আইসিটি শিক্ষার মাধ্যমে তাদের উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনায় নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।